লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪

বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর বহু বাংলাদেশী নাগরিক লুক্সেমবার্গের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছে। তবে অধিকাংশ মানুষই লুক্সেমবার্গ রাষ্ট্রটিতে জীবিকার জন্য যাচ্ছেন। তারা নিজেদের পেশার জন্য প্রতিনিয়ত এই রাষ্ট্রটির সরকারি বা বেসরকারি বিভিন্ন ভিসা প্রস্তুত করছে। তবে বর্তমানে লুক্সেমবার্গ এর সব ধরনের ভিসায় সহজলভ্য হয়েছে।

লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪

চলুন এখন লুক্সেমবার্গ রাষ্ট্রটির সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু ধারনা নেওয়া যাক-


লুক্সেমবার্গ রাষ্ট্রটি পশ্চিম ইউরোপে অবস্থিত। এ রাষ্ট্রটি একটি স্থল বেষ্টিত রাষ্ট্র। ওই দেশটির রাজধানী হল লুক্সেমবার্গ যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অফিসিয়াল রাজধানী গুলোর মধ্যে একটি।


আপনি যে দেশেই যান না কেন অবশ্যই মাথায় রাখবেন বৈধ ভাবে আপনি অতি সহজে এবং নির্ভেজাল ভাবে আপনার ভ্রমণ সম্পন্ন করে আপনার গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারবেন । এখন আপনি যদি একটি দেশ থেকে ওপর একটি দেশে বৈধভাবে যেতে চান সে ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম আপনার ভিসাটি বৈধ হতে হবে। আর এই বৈধ ভিসা পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে প্রথমত বৈধ ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।


তবে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর ভিসা পাওয়া তুলনামূলকভাবে কঠিন। কিন্তু সেই ভিসাটি যদি আপনি সরকারি ভাবে করেন সে ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর ভিসা পাওয়া খুবই সহজ।


কিভাবে লুক্সেমবার্গ যাবেন?

আপনি যদি কাজের জন্য লুক্সামবার্গ যেতে চান সেক্ষেত্রে সরকারিভাবে বুয়েসেলের মাধ্যমে লুক্সেমবার্গ যেতে পারবেন। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন কাজের জন্য লুক্সামবার্গেরযেতে হলে আপনার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা থাকতে হবে ।


এখন প্রশ্ন হল এই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আপনি কিভাবে পাবেন?


লুক্সামবার্গের ওয়ার্ড পারমিক্স ভিসাটি পেতে হলে আপনাকে ইউরোপে অবস্থিত বাংলাদেশি এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এছাড়াও আপনার পরিচিত কেউ যদি লুক্সেমবার্গে অবস্থানরত থেকে থাকে সেক্ষেত্রে তার সাহায্যে আপনি লুক্সেমবার্গে যেতে পারবেন।


লুক্সেমবার্গ যাওয়ার ভিসার আবেদন কিভাবে করবেন :-


বর্তমানে দেশের অগ্রগতির কারণে আপনি ঘরে বসেই লুক্সেমবার্গ যাওয়ার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন অনলাইনের মাধ্যমে। আবার খুবই সহজে ঘরে বসেই এই আবেদন ফিটিও আপনি জমা দিতে পারবেন।


অনলাইনের মাধ্যমে লুক্সামবার্গের ভিসার আবেদনের নিয়ম:-


অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে লুক্সেমবার্গ ভিসা অফিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করে আবেদন ফি পরিশোধ এবং প্রয়োজনীয় সকল তথ্য প্রদান করার মাধ্যমে ভিসার আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।


 লুক্সেমবার্গ এ কাজের বেতন কেমন?


আপনি যখন নিজের দেশ ত্যাগ করে অপর একটি দেশে নিজের জীবিকার জন্য এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য দেশ ত্যাগ করার মনোনিবেশ করবেন। অবশ্যই তার আগে আপনার সম্পূর্ণভাবে জেনে নিতে হবে আপনি কোন দেশটিতে যেতে চাচ্ছেন সেই দেশটিতে কি কাজ করতে চাচ্ছেন এবং অবশ্যই সেখানে আপনি কেমন বেতন পাবেন।


এই লুক্সামবার্গ রাষ্ট্রটিতে কাজের উপর ভিত্তি করে বেতন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। দেহ তো বাংলাদেশ থেকে কাজের জন্য অধিকাংশ শ্রমিক গিয়ে থাকে। তাই শ্রমিকের বেতন সম্পর্কেই জানা যাক। লুক্সেমবার্গ লাস্টে একজন শ্রমিক প্রতি মাসে সর্বনিম্ন প্রায় ১২ হাজার ইউরো নির্ধারণ করা হয়ে থাকে । যা বাংলা টাকায় রূপান্তর করলে হবে ১ লাখ ৫২ হাজার টাকা। 


আবার এই বেতনের কমবেশিও হয়ে থাকে একজন শ্রমিকের কাজের দক্ষতা, সক্ষমতা, অভিজ্ঞতা এবং যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে। একজন অভিজ্ঞ শ্রমিকের প্রতি মাসে ন্যূনতম বেতন প্রায় ১৫০০০ ইউরো। যা বাংলা টাকায় ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

লুক্সেমবার্গ ভিসার খরচ কত?


আগেই বলা হয়েছে, আপনি চাইলেই লুক্সেমবার্গ যাওয়ার জন্য সরকারি অথবা বেসরকারি যে কোন ভিসা প্রস্তুত করতে পারেন। তবে অবশ্যই বেসরকারি ভিসা থেকে সরকারি ভিসা প্রস্তুত করতে আপনার কম খরচ পড়বে।


আপনার ভিসার ধরণের উপর ভিত্তি করে তার দাম নির্ধারণ করা হয়ে থাকে । এছাড়া আপনি যদি সরকারিভাবে সরকারিভাবে লুক্সেমবার্গ বিচার প্রস্তুত করতে চান সে ক্ষেত্রে তার খরচ কমবেশি হতে পারে।


আপনি যদি সরকারিভাবে লুক্সেমবার্গ এর ভিসা তৈরি করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার বাংলা টাকায় খরচ হবে প্রায় ৬ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকার মত।


আবার আপনি যদি চান বেসরকারিভাবে আপনার লুক্সেমবার্গের ভিসা প্রস্তুত করবেন সে ক্ষেত্রে আপনার ভিসা প্রস্তুত করতে খরচ হতে পারে ন্যূনতম প্রায় ৮ লাখ থেকে ৯ লাখ টাকার মধ্যে।


বাংলাদেশ থেকে লুক্সেমবার্গ যেতে কত সময় লাগে


আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে লুক্সেমবার্গ যেতে হন আপনার যানবাহন হিসেবে অবশ্যই উড়োজাহাজকে বেছে নিতে হবে। আকাশ পথ ব্যতিত অন্য কোন মাধ্যমে আপনি বাংলাদেশ থেকে লুক্সেমবার্গ এ যেতে পারবেন না। বাংলাদেশ থেকে লুক্সেমবার্গ যেতে ন্যূনতম সময় লাগে ১৯ থেকে ২২ ঘন্টা প্রায়। তবে বিমানের স্টপেজ এর ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ থেকে লুক্সামবার্গ যেতে প্রায় একদিন ২২ ঘটার মতো সময় লাগতে পারে।

লুক্সেমবার্গে কাজের জন্য আবেদন করার পূর্বে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা থাকলে খুবই সহজে কাজ এবং কাজের ভিসা পাওয়া যাবে

চাকরির পরিচিত খোঁজ :- লুক্সেমবার্গের বিভিন্ন সাইটে, চাকরি প্রকাশের প্ল্যাটফর্মে বা চাকরির পোর্টালে চাকরির সুযোগ প্রকাশিত হতে পারে। এই প্ল্যাটফর্মগুলিতে আপনি আপনার প্রোফাইল তৈরি করে এবং আপনার ক্ষমতা, অভিজ্ঞতা এবং আগ্রহমূলক ক্ষেত্রে চাকরি সন্ধান করতে পারেন।


 নিজের যোগ্যতা সম্পর্কে অবগত হন:- সর্বপ্রথম আপনাকে আপনার নিজের যোগ্যতা সম্পর্কে অবগত হতে হবে। আপনার কাজ করার দক্ষতা দেখে যদি আপনি আত্মবিশ্বাস পান অবশ্যই সে কাজে আপনি সফল হবেন। তাই কোন কাজ বেছে নেওয়ার পূর্বে সে কাজ সম্পর্কে অবগত হন এবং নিজের দক্ষতা সম্পর্কে যাচাই-বাছাই করুন এবং নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করুন। আপনি যখন চাকরির জন্য আবেদন করবেন অবশ্যই আবেদন করার পূর্বে আপনার নিজের যোগ্যতা দক্ষতা সম্পর্কে আপনার অবগত হতে হবে।


যেহেতু আপনি কাজের জন্যলুক্সেমবার্গ কে বেছে নিচ্ছেন সেও তো অবশ্যই আপনাকে লুক্সেমবার্গের কাজের বাজার সম্পর্কে জানতে হবে তাদের চাহিদা সম্পর্কে জানতে হবে তাদের কাজের ধরন সম্পর্কে জানতে হবে তাদের কাজের বেতন সম্পর্কে জানতে হবে অর্থাৎ তাদের সকল প্রকার চাহিদা সম্পর্কে সর্বপ্রথম আপনাকে অবগত হতে হবে। এরপর আপনাকে নির্বাচন করতে হবে আপনি সেই দেশে কোন কাজের জন্য যাবেন এবং এরপর সেই কাজের জন্য আপনাকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এরপর যখন আপনার ভেতরে আত্মবিশ্বাস আসবে এবং আপনি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করবেন তখনই আপনি কাজের জন্য বা চাকরির জন্য আবেদন করার জন্য প্রস্তুত হবেন। 


চাকরির আবেদন করার নিয়ম:- আপনি যদি কাজের জন্য বা চাকরির জন্য আবেদন করার জন্য মনোনিবেশ করেন সেক্ষেত্রে আপনি চাকরি প্রকাশের পোর্টাল বা চাকরি প্রকাশের প্ল্যাটফর্মে আবেদন করতে পারেন। এবং সেখানে আপনার নাম ,যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।


ইন্টারভিউ এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া:- আপনার আবেদন সম্পন্ন হওয়ার পরে কোম্পানি যদি আপনার সিভি কাগজপত্র দেখে আপনাকে দক্ষ অভিজ্ঞ মনে করেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রস্তাব প্রদান করবেন। এবং তাদের সময় অনুযায়ী তারা একটি নির্দিষ্ট ডেট ফিক্সড করতে পারে যেই দিনে আপনাকে তারা আপনার যে কাজটির জন্য আবেদন করবেন সে কাজটি সম্পর্কে যোগ্যতা, ধারণা, দক্ষতা এসব বিষয়ে কিছু প্রশ্ন করবে। আপনার প্রশ্নের উত্তর এবং আপনার সকল প্রকার কাগজপত্র দেখে যদি তাদের মনে হয় যে আপনি সেই কাজটির জন্য উত্তম সেক্ষেত্রে আপনাকে সেই কাজের জন্য নির্বাচন করা হবে।


অফারপ্রাপ্ত করুন:- আপনি যদি আপনার ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে তাদেরকে আপনার দক্ষতা অভিজ্ঞতা এবং যোগ্যতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে সক্ষম হন তাহলে সে ক্ষেত্রে তারা আপনাকে চাকরির জন্য অফার প্রদান করতে পারে।


চাকরি প্রদান:- আপনি যদি তাদের দেওয়া চাকরিটি গ্রহণ করেন সেক্ষেত্রে আপনি একটি লিখিত চুক্তির মাধ্যমে তাদের অফারটি গ্রহণ করুন এবং প্রমাণসহ একটি চুক্তিপত্র গঠন করুন সে কোম্পানির সাথে।


এইভাবে, লুক্সেমবার্গে চাকরি পেতে আবেদন করা যেতে পারে। সাধারণত, চাকরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্ল্যাটফর্ম এবং অনলাইন জব পোর্টাল প্রয়োজনীয় তথ্য এবং সার্কুলার সরবরাহ করে যা চাকরিবাজারে চাকরি সন্ধানে সাহায্য করতে পারে। আপনি এই সাইটগুলি দেখে নিজের যোগ্যতা এবং পছন্দসই চাকরি সন্ধান করতে পারেন।


লুক্সেমবার্গ যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র


আপনি যখন যে কোন একটি দেশের জন্য ভিসা প্রস্তুত এর আবেদন করবেন অবশ্যই আপনার ভিসা প্রস্তুত এর জন্য প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্ট দরকার পড়বে। আপনি যে দেশের ভিসা তৈরি করে না কেন অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া আপনি আপনার ভিসা প্রস্তুত করতে পারবেন না। তবে আপনার বিচার ধরনের উপর ভিত্তি করে আপনার কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়বে। অধিকাংশ ভিসা তৈরীর ক্ষেত্রে কাগজপত্রের মধ্যে সাদৃশ্য পাওয়া যায়।


•ন্যূনতম ছয় মাস মেয়াদী পাসপোর্ট।


•পাসপোর্ট সাইজের ছবি রঙিন।


•মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট।


•পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট।


•অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ। 


•জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।


•শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট ( সকল ভিসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)


•নিয়োগকর্তার অনুমতি পত্র।


এছাড়াও আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে লুক্সেমবার্গ ড্রাইভিং ভিসার মাধ্যমে যেতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজন পড়বে। আবার আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার স্কলারশিপ এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদদের কপি প্রমান সহকারে উপস্থাপন করতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

প্রবাসী বাংলার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url