অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ | গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কোথায় কোথায় হয় দেখুন
অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ | গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কোথায় কোথায় হয় দেখুন.
অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ কি কি, সে-সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। কেননা বর্তমানে বিশাল সংখ্যক মানুষ শুধুমাত্র গ্যাস্ট্রিক আলসারের সমস্যায় ভুগছেন। মূলত ঐ সকল পাঠকদের কথা চিন্তা করে আজ আমরা- অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ সমূহ, গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়, করণীয় হিসেবে কি কি করা যায়, এর উপযুক্ত চিকিৎসা কি এ-সম্পর্কে জানাবো খুঁটিনাটি।
অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ
অতিরিক্ত গ্যাস হলে সাধারনত পেটের উপরিভাগে জ্বালাপোড়া, পেট ফাঁপা অর্থাৎ বেলচিং, বুকের মাঝখানে চাপা ব্যথা বা জ্বালাপোড়া, বমি বমি ভাব কিংবা বমি, কোমরের উপরিভাগে ব্যথা, মুখের তিক্ত বা টক স্বাদ অনুভব জনিত সমস্যা গুলো প্রকাশ পায়।
আর এই লক্ষণগুলো যখন দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে তখন গ্যাস্ট্রিক আলসার বা অন্যান্য জটিলতার সৃষ্টি হয়। এজন্য আপনি যদি পূর্বেই সতর্ক হতে চান বা গ্যাসের সমস্যা খুব সামান্য পরিমাণে থাকাকালীন সময়ে এর প্রতিকার করতে চান তাহলে আর্টিকেলের পরবর্তী অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কি | গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কাকে বলে?
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বলতে সাধারণত পেটের গ্যাস, এসিডিটি, এবং বদ হজমের মতো লক্ষণগুলোকে বোঝানো হয়। যখন আমরা খাবার গ্রহণ করি তখন পাকস্থলীতে থাকা অতিরিক্ত “এসিড” খাবার হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে অথবা পাকস্থলীতে জমে থাকা গ্যাস হজম প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করে থাকে আর ওই সময় গ্যাসের সমস্যার উদ্ভব হয়।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যা পেটের সমস্যা বা হজমে ব্যাঘাত সৃষ্টিকারী কারণ হিসেবে পরিচিত। যদি আপনি এটি সংজ্ঞায়িত করতে চান তাহলে বলা যেতে পারে– যা আমাদের পেটে অস্বস্তির সৃষ্টি করে এবং দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে, পাশাপাশি পাকস্থলী এবং পাচনতন্ত্রে বিভিন্ন সমস্যার তৈরি করে তার একত্রিত রূপই হচ্ছে গ্যাস্টিক সমস্যা। আপনি মূলত এটা বুঝতে পারবেন যখন জানতে পারবেন- পেটে গ্যাস হলে কি কি সমস্যা হয় সেটা বিস্তারিত।
পেটে গ্যাস হলে কি কি সমস্যা হয় | গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়
পেটে গ্যাস হলে সাধারণত নিম্ন বর্ণিত সমস্যা গুলো হয়ে থাকে। যথা –
বুক জ্বালা
পেট ফুলে ওঠা
টক ঢেকুর তোলা
পেট ব্যথা
কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা
অতিরিক্ত বমি কিংবা বমি বমি ভাব
সামান্য শ্বাসকষ্ট
ভারী পেটের অনুভব
থিদে মন্দা দেখা দেওয়া
বদহজম
অ্যাসিড রিফ্লাক্স
পেটের আস্তরণে ঘা
পেটে শক্ততা বা গিট তৈরি সহ প্রভৃতি সমস্যা।
আর হ্যাঁ, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে সাধারণত নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় অতিরিক্ত ব্যথা অনুভব হয়ে থাকে। এজন্য জানার উদ্দেশ্যে অনেকেরই প্রশ্ন– গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়? আপনার যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে সাধারণত নিম্ন উল্লেখিত স্থানে আপনি ব্যথা অনুভব করতে পারেন। এগুলো হলো –
পেটের উপরের ডান দিকে ব্যথা
পেটের উপরের বাম দিকে ব্যথা
নাভির কাছাকাছি ব্যথা অথবা পেটের পুরো অংশ জুড়েই ব্যথা।
যদি আপনার পেটের উপরের ডানদিকে ব্যথা অনুভব করেন, সেক্ষেত্রে এটি গ্যাস্ট্রিক আলসারের একটি সাধারণ লক্ষণ বলে মনে করবেন। আর যদি পেটের উপরে বাম দিকে ব্যথা হয় তাহলে এটি গাস্ট্রাইটিসের লক্ষণ হতে পারে।
অন্যদিকে পেটের পুরো অংশ জুড়ে ব্যথা হলে তা এসিডিটি, অতিরিক্ত গ্যাস বা অন্ত্রের প্রদাহর কারণ বলে চিহ্নিত করতে পারেন। নাভির কাছাকাছি ব্যথা হলে এটাকে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়েছে বলে মনে করা হয়। তাই এই নির্দিষ্ট জায়গা গুলোতে যদি দীর্ঘদিন থেকে ব্যথা অনুভব করলে গ্যাস্ট্রিকের জন্য ভালো চিকিৎসা নিতে হবে আপনাকে।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার কারণ | কি কি কারণে গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যা দেখা দেয়
গ্যাস্টিকের সমস্যা সৃষ্টির একাধিক কারণ রয়েছে। যেমন–
লাইফ স্টাইল ফ্যাক্টর – অতিরিক্ত বসে থাকা, ধূমপান অথবা অত্যাধিক অ্যালকোহল সেবন। কেননা এটা প্রমাণিত হয়েছে শারীরিক ক্রিয়া-কলাপ এর অভাব হলে হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায় ফলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও ধূমপান এবং অ্যালকোহল শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর এটা আমাদের বদ্ধ জমের সৃষ্টি করে ফলে ধীরে ধীরে গ্যাস্ট্রিক আলসারের সমস্যা সৃষ্টি হয়।।
খাদ্যাভ্যাস– গ্যাস্ট্রিকের অনেক অনেক কারণ এর মধ্যে একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে খাদ্য তালিকা গত কারণ অর্থাৎ সঠিক খাদ্যাভ্যাসের অভ্যাস না থাকা। কম আঁশযুক্ত খাবার না খাওয়া এবং অতিরিক্ত মসলাদার বা চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া এই সমস্যার একটি প্রধান কারণ।
মানসিক কারণ– অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেন পেটের গ্যাসের সমস্যার সাথে কিভাবে এই কারণটি যায়! কিন্তু সত্যি এটাই স্ট্রেস আর অতিরিক্ত উদ্বেগের কারণে মনস্তাত্ত্বিক চাপ হজম প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে ফলে পেটে গ্যাস বা আলসারের সৃষ্টি হয়।
এছাড়াও বংশগত কারণ, হঠাৎ জীবনযাত্রার পরিবর্তন, অন্য কোন ঔষধ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা দীর্ঘস্থায়ী কিছু রোগের কারণেও দেখা দেয় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা।
গ্যাস্ট্রিক আলসার এর লক্ষণ | অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক এর উপসর্গসমূহ
ইতিমধ্যে আমরা যে আলোচনা করেছি আশা করছি এর মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারছেন– গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা এবং গ্যাস্ট্রিক আলসার দুইটিই পেটের অসুখের সাথেই সম্পর্কিত। মূলত আপনার যদি গ্যাস্ট্রিক আলসার হয় অর্থাৎ পেপটিক আলসার এর সমস্যা থেকে থাকে সেক্ষেত্রে সাধারণত যে সকল লক্ষণ গুলো দেখা দিতে পারে সেগুলো হলো–
পেটের উপরের দিকে ব্যথা
বুক জ্বালাপোড়া করা
হঠাৎ খিদে লাগলে ব্যথা অনুভব
বমি বমি ভাব
ওজন কমতে থাকা
ক্লান্তি ও দুর্বলতা এবং
মলে রক্ত দেখা দেওয়া।
আর যদি অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের উপসর্গ ফুটে ওঠে সেক্ষেত্রে বারবার ঢেকুর, পেট ফুলে যাওয়া, পেটে অস্বস্তি অনুভব এবং খাবারের প্রতি অনীহা সৃষ্টি হাওয়ার লক্ষণ গুলো দেখা যায়। আশা করছি এগুলো পড়ার পর আপনি বুঝতে পারবেন আপনার মাঝে প্রকাশিত লক্ষণ গুলো আপনার অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, নাকি গ্যাস্ট্রিক আলসারের সমস্যা! এখন আসুন চিরতরে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তির কোন উপায় রয়েছে কিনা সে ব্যাপারে জানি।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানের উপায় | চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধানের অনেক অনেক উপায় রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–
খাদ্যাভাস এর পরিবর্তন
নিয়মিত ব্যায়াম
সঠিক সময় সঠিক খাবার গ্রহণ
স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট
ঘরোয়া টোটকা গ্রহণ এবং
সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ ও উপযুক্ত ঔষধ সেবন।
দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় | গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবেনা?
দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর জন্য আপনাকে নিয়মিত কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে। আর তাই ঘরোয়া উপায়ে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা প্রতিকারের বিষয়ে পরামর্শ দিব আপনাদেরকে। তার আগে জেনে নিন গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবেনা এবং কোন খাবারগুলো বেশি বেশি খেতে হবে।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় যে সকল খাবার এড়িয়ে চলবেন–
অতিরিক্ত স্পাইসি খাবার
তেলে ভাজা খাবার
আমরা যুক্ত খাবার অথবা
ক্যাফেইনযুক্ত পানিও কিংবা অ্যালকোহল যুক্ত পানীয়।
অন্যদিকে গ্যাসের সমস্যায় পড়লে সাধারনত যে খাবারগুলো খাবেন সেগুলো হলো–
ভাত
রুটি
শাকসবজি
মুরগির মাংস
মাছ
দুগ্ধ জাতীয় খাবার এবং
ফলমূল
এক কথায়, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সময়ে হালকা এবং সহজপাত্র খাবার খাওয়া জরুরী। পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে ভুলবেন না। আর হ্যাঁ, গ্যাসের সমস্যা প্রতিরোধের জন্য কিছু টিপস ফলো করবেন। যথা –
সব সময় খাবার ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাবেন
নিয়ম মেনে খাবার খাবেন
খাওয়ার সময় কথা বলা এড়িয়ে চলবেন
ছোট ছোট করে বারবার খাবার খাবেন
খাবার খাওয়া হয়ে গেলে ৩০ মিনিটের মত অপেক্ষা করবেন অর্থাৎ বিশ্রাম নিবেন
সবসময় মানসিকভাবে প্রফুল্ল থাকার চেষ্টা করবেন
ধূমপান অথবা মধ্যপান একদমই করবেন না
কার্বনেটেড পানীয় সব সময় এড়িয়ে চলবেন
পাশাপাশি শরীর চর্চা করবেন।
গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায় | গ্যাস্ট্রিক সমস্যার ঘরোয়া প্রতিকার
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধানে ঘরোয়া প্রতিকার হচ্ছে নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করা এবং কার্যকরী কিছু টোটকা বা পানীয় উপকারি উপাদানের সংমিশ্রণে তৈরি করে সেটা নিয়মিত খাওয়া। আসুন গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায় হিসেবে এমন কিছু বিষয় অবগত হই।
গ্যাস্ট্রিক দূর করার জন্য প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে খুব তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তাই এই সমস্যায় পড়লে প্রথম এক সপ্তাহ পর্যাপ্ত পানি পান খেয়ে সমস্যার অবনতি বা উন্নতি দেখতে পারেন।
আদা চা বদহজম বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। তাই বমি বমি ভাব, এসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা বুঝলে এক চাকা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন কিংবা আদা চায়ে দিতে পারেন এক চুমুক। এতে করেও প্রতিকার মিলবে বলে আশা করছি
মৌরি বীজ, যেটা আমাদের জন্য খুবই উপকারী একটি শস্যদানা। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ভুগলে মৌরির বীজ চিবানো খুবই জরুরী। মূলত এ ব্যাপারে চিকিৎসকরা বলেছেন যাদের গ্যাস্ট্রিকের অতিরিক্ত সমস্যা আছে, ফোলা ভাব বদহজম সমস্যা গুলো একদমই যাচ্ছে না তারা প্রতিদিন মৌরির বীজের তৈরি চা অথবা মৌরীর বীজ চিবিয়ে খেতে পারেন।
এক গ্লাস গরম পানিতে এক টেবিল চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করতে পারেন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ঘরোয়াভাবে প্রতিকারের জন্য, কেননা এটাও অনেক বেশি কার্যকরী একটি পদ্ধতি।
এছাড়াও ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্টিকের সমস্যা দূরীকরণের জন্য আরো খেতে পারেন পেপার মিন্ট চা অথবা কেমোমাইল চা। এটাও অনেক বেশি কার্যকরী একটি উপায়। সাথে প্রবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরী, কেননা এই খাবারগুলো মন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং হজমে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
এলোভেরার জুস অল্প পরিমাণে শরবত বানিয়ে খেলেও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমে যায়। পাশাপাশি নিয়মিত কলা এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলেও এর প্রতিকার মিলে।
আশা করছি ইতিমধ্যে আমরা ঘরোয়া উপায় হিসেবে যে সকল বিষয় সংযুক্ত করেছি এগুলোর যেকোনো একটি ফলো করে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হবে। আর যদি সেটা না হয় তাহলে আমরা বলবো একটি ভালো চিকিৎসকের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলুন এবং তাদের দেওয়া ঔষধ নিয়মিত খান।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যার চিকিৎসা | গ্যাস্ট্রিকের কার্যকরী ঔষধ
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা যখন গুরুতর পর্যায়ে চলে যাবে মানে এটা আপনার কাছে সহ্যকর হবে না তখন ঘরোয়া উপায় গুলো বাদ দিয়ে ভালো চিকিৎসকের সাথে কথা বলাই শ্রেয়। তবে হ্যাঁ, অনেকেই রয়েছেন যারা গ্যাস্ট্রিকের কার্যকরী ঔষধ লিখে সার্চ করে থাকেন এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে ঔষধের নাম জেনে নিজের মর্জি মাফিক ঔষধ খান। যেটা একদমই উচিত নয়।
কেননা প্রতিটি ওষুধের কিছু না কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। আর আপনার যে গ্যাসের সমস্যা হয়েছে এটা মূলত কতটা গুরুতর আর এটা ঠিক করার জন্য কোন মাত্রার কোন ঔষধটি কতটুকু পরিমাণ খেতে হবে এটা শুধুমাত্র আপনাকে সঠিকভাবে একজন চিকিৎসকই সাজেস্ট করতে পারবেন। তাই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। এখন আসুন আলোচনার শেষ পর্যায়ে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা নিয়ে জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর জানি।
জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী
১. গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কি পিঠে হয়?
✓ হ্যাঁ কিছু ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা পিঠেও অনুভব হয়ে থাকে। অগ্নাশয় পিত্তথলি এবং বিক্ক এই অংশগুলো সাধারণত পেটের পেছনের অংশে অবস্থিত ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে এগুলোর ওপর প্রভাব পড়ে কখনো কখনো এই ব্যথা পিঠেও অনুভব হয়।
২. আমি কখন একজন ডাক্তারের কাছে যেতে পারি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার কারণে?
✓ যখন আপনার মাঝে গ্যাস্ট্রিকের সকল লক্ষণ প্রকাশ পাবে এবং ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি বাট টোটকা কোন কাজ করবে না এবং গুরুতর লক্ষণ হিসেবে ওজন কমে যাওয়া, মালের সাথে রক্ত দেখা দেওয়া ইত্যাদি এই উপসর্গগুলো বারবার দেখা দেবে তখন ডাক্তারের কাছে যাবেন।
৩. গ্যাসের জন্য বুকে ব্যথা কতদিন থাকে?
✓ গ্যাসের কারণে বুকে ব্যথা কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়। আবার কখনো কখনো এটা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। এটা মূলত গ্যাসের গুরুতর অবস্থার উপর নির্ভর করে।
৪. গ্যাসের কারণে বুকে ব্যথা হওয়ার কিছু সাধারণ কারণ কি কি?
✓ কিছু সাধারণ কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত খাওয়া, দ্রুত খাওয়া, অতিমাত্রায় মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া কিংবা অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় সময় পার করা।
৫. গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কি কি ব্যায়াম জরুরী?
✓ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কার্যকরী ব্যায়াম হচ্ছে পবন মুক্তাসন। কেননা এটা সত্যি কার্যকরী একটা ব্যায়াম যেটা দীর্ঘ মেয়াদে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে। যেটা আপনি ট্রাই করে দেখতে পারেন।
তো অডিয়েন্স বন্ধুরা, এই ছিল অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ এবং গ্যাসের সমস্যার সম্পর্কিত আমাদের আজকের আলোচনা। যদি এ নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট করে জানাবেন আর আপনি যদি গ্যাসের সমস্যার ভুক্তভোগী হয়ে থাকেন তাহলে দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য পরামর্শ গুলো মেনে চলবেন। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
প্রবাসী বাংলার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url