সাবেক মুক্তিযোদ্ধা প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এবি তাইজুল ইসলাম এর ৯ দিনের রিমান্ড
ক্যাপ্টেন এবি তাইজুল ইসলাম এর ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের ছাত্রদল নেতা নয়ন হত্যা মামলায় সদ্য বিলুপ্ত জাতীয় সংসদের প্যানেল স্পিকার এবং সাবেক মুক্তিযোদ্ধা প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলামকে ৯ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। গতকাল দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমান তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পুলিশ তার ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিল। তাকে ঢাকার ডিবি পুলিশ মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসা হয়।
নয়নের হত্যার ঘটনা ঘটেছিল ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর। এক সমাবেশে তাকে আবু সাঈদের মত সরাসরি গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় ২০ নভেম্বর বাঞ্ছারামপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর আফজল হোসেন খান একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় চর শিবপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনকে এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা দেড়শো জনকে আসামি করা হয়। মামলায় বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে পুলিশকে বাধা দেওয়া, হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে গুরুতর জখম এবং সরকারি সম্পদ ধ্বংসের অভিযোগ আনা হয়েছে। ক্যাপ্টেন তাজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
বিগত বছর গুলোতে সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাজ এবং তার ভাতিজা এবং ভাগ্নে বাঞ্ছারামপুর থানার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে লুটতরাজ্য চালিয়েছে। বর্তমানে তার ভাগ্নে ও ভাতিজা পলাতক রয়েছে। বাঞ্ছারামপুর থানার রূপসদী গ্রামের সুজন হত্যার প্রধান ঘাতক হিসেবে কুখ্যাত ক্যাপ্টেন তাজের দিকে আঙ্গুল উঠানো হয়। ২০২৪ সালে আগস্ট মাসের ৫ তারিখে বাংলাদেশ নতুনভাবে স্বাধীন হওয়ার পর রূপসদী এলাকার সাধারণ জনগণের দাবি এখন সুজন হত্যার সুস্থ তদন্ত করা হোক এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন তাজ সহ তার ধূসরদের আইনি প্রক্রিয়ায় কঠোর বিচার করা হোক।
প্রবাসী বাংলার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url