সিআইএ কিভাবে অন্য দেশের সরকার পাল্টে দেয়
সি আই এ
১৯৫৩ সাল যুক্তরাষ্ট্রের একজন আর্মি জেনারেল ইরানে আসেন পুরনো বন্ধুর সাথে দেখা করতে। এর কয়েকদিন পরই ইরানের জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী মোসাদ্দেককে একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। রাজনীতির বিশ্লেষকরা তখন ইরানে সদ্য সফররত মার্কিন জেনারেলকে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং মোসাদ্দেকের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের পিছনে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা সিআই এর যোগসাজশ নিয়ে শুরু হয় তুমুল আলোচনা। যদিও সেই সময় সংস্থাটি অভ্যুত্থানের দায় এড়িয়ে যায়। তবে ২০১৩সালে সিআইএ প্রকাশ্যে স্বীকার করে নেয় যে, ইরানের সেই অভ্যুত্থানের পিছনে তারাই জড়িত ছিল।শুধু তাই নয়, সিআইএ প্রকাশ করে ১৯৫৩ সালের অভ্যুত্থানের পুরনো সব নথিপত্র। যেখানে দেখা যায় মোহাম্মদ মোসাদ্দেক প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরপরই তাকে অপসারণ করতে অপারেশন এজাক্স নামে একটি মিশন হাতে নেয় সিআইডি। পরবর্তী কয়েক বছর ধরে সেই মিশনের বিভিন্ন ধাপে কয়েক মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ইরানের প্রচার মাধ্যমগুলোকে হাত করে নেয় সিআইএ। ঘুষ দিয়ে নিজেদের পক্ষে আনে ইরানের প্রভাবশালী অনেক ইসলামি নেতাকেও এবং সবশেষে পুরনো বন্ধুর সাথে দেখা করার ছুতোয় আমেরিকার সেনা জেনারেল আসেন সিআইএর চূড়ান্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বার্তা নিয়ে এ ভাবে একটি সফল অভ্যুত্থান ঘটিয়ে আমেরিকার ঘনিষ্ঠ মিত্র মোহাম্মদ রেজা শাহ পাহলভির শাসনকে সুসংহত করেছিল সিআইএ।
আমেরিকার দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। সিআইএর সরাসরি মদতে ঘটে যাওয়া আলোচিত কয়েকটি অভ্যুত্থান।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার আগেই আমেরিকা সোভিয়েত ইউনিয়ন নতুন দুই পরাশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে শুরু করে। জার্মানির বিরুদ্ধে তারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করলেও যুদ্ধের পর দেশ দুটি একে অপরের প্রতিপক্ষে পরিণত হয়। শুরু হয় পুঁজিবাদ ও সমাজতন্ত্রের এক নীরব যুদ্ধ। আমেরিকা সোভিয়েত ইউনিয়ন উভয়ে মরিয়া হয়ে ওঠে বিভিন্ন দেশকে নিজেদের বলয়ে নিয়ে আসতে। আর তখন মার্কিন সরকার একটি শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজন বোধ করে, যেন সোভিয়েত ইউনিয়নের যে কোনো পদক্ষেপের খবরাখবর আগে থেকেই টের পাওয়া যায়।এবং সেই অনুযায়ী পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়া যায়। সে লক্ষ্যে ১৯৪৭ সালে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যানের তত্ত্বাবধানে গঠিত হয় সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি। সংক্ষেপে যা সিআইএ । সিআইএ একটি স্বাধীন বেসামরিক গোয়েন্দা সংস্থা যা যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন। তবে এটি কোনও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নয়। এর মূল দায়িত্ব হলো জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশের উচ্চপদস্থ নীতিনির্ধারকদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করা। সিআইএর কাজের ধরন প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়। সারা বিশ্বে তাঁদের নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা, তথ্য উপাত্ত যথাযথ বিশ্লেষণ করা৷ এবং রাষ্ট্রপতি নির্দেশনা অনুযায়ী যে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করায়। এছাড়া সন্ত্রাসদমন দেশে বিদেশে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ রক্ষা বিশ্বের অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা।সাথে তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে আমেরিকার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা ধরনের কাজ করে থাকে সিআইএ। তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, সিআইএর মিশন ও ভিশন হলো প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা পলিসি সামঞ্জস্য ধরে রাখা এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখা, আপাতদৃষ্টিতে সিআইএর লক্ষ্য উদ্দেশে কোনও জটিলতা নেই। তবে এটা শুধু মুদ্রার এক পিঠ। আরেক পিঠে তাকালে দেখা যায় আমেরিকার স্বার্থ রক্ষায় কতটা বেপরোয়া হতে পারে সিআইএ। শুধু স্বার্থরক্ষার ব্যাপার হলে হয়ত অনেকেই সিআইএকে অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কাতারে ফেলতেন। কিন্তু আমেরিকার এই সংস্থাটি পরাশক্তি হিসেবে নিজেদের শক্ত অবস্থান ধরে রাখতে মানবাধিকার লঙ্ঘন হুমকি ধামকি ঘুম,খুন থেকে শুরু করে সকল ধরনের অমানবিক কাজ পর্যন্ত করে থাকে। এমনকী পৃথিবীর বহু দেশে সরকার পর্যন্ত বদলে ফেলার মতো বৃহৎ কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করছে সিআইএ।এবং ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় সিআই এমন কাজ দু একবার যে করেছে এমন নয়, বরং বহু দেশেই অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতার রদবদল ঘটিয়েছে এ সংস্থাটি । প্রতিষ্ঠার মাত্র কয়েক বছরের মাথায় সিআইএ ইরানে একটি সফল অভ্যুত্থান ঘটাতে পারাই সংস্থাটি রাষ্ট্রের যথাযথ আস্থা অর্জন করে। ফলে এ ধরনের আরও দায়িত্ব দেওয়া হয় সিআইএকে।
গুয়াতেমালাতে সি আই এর মিশন
১৯৫১ সালে গুয়াতেমালার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন জ্যাকব আরবেনজ, ক্ষমতায় এসে তিনি রাজ্যের ভূমি এর পুনর্বণ্টন ঘোষণা দেন। এতে আমেরিকার সাথে দ্বন্দ্ব বেধে যায় জ্যাকব আরবেনজের । কারণ গুয়াতেমালা ছিল আমেরিকার ফলের ব্যবসা। আর সে দেশের আবাদী জমির সিংহভাগই ছিল আমেরিকার মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর অধীনে, এবং সব চেয়ে অবাক করার মতো ব্যাপার হল আমেরিকা বিনা ট্যাক্স সেখানে ব্যবসা করে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। ফলে ধোনি পূর্বাঞ্চলের ঘোষণায় ভীষণ ক্ষুব্ধ হয় আমেরিকায়। কাজেই জ্যাকব আরবেনজ কে ক্ষমতা থেকে সরাতে মরিয়া হয়ে ওঠে তারা৷ দায়িত্ব দেওয়া হয় সিআইএকে।আরবেনজকে সরাতে সিআইএ অপারেশন পিবিসাক্সেস নামে একটি পরিকল্পনা হাতে নেয়। এই পরিকল্পনার জন্য ২.৭ মিলিয়নমার্কিন ডলার বাজেট করা হয়। নিয়োগ করা হয় সি আইয়ের প্রায় ১০০ জন এজেন্ট এবং পরবর্তীতে এর বাজেট গিয়ে দাঁড়ায় সাত মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর সিআইএ প্রথমে শুরু করে মনস্তাত্ত্বিক লড়াই। গুয়াতেমালার বিভিন্ন প্রচার মাধ্যম ব্যবহার করে সি আই প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে দেয় জ্যাক ও পারভেজের বিরুদ্ধে। ধীরে ধীরে জনসাধারণের মাঝে গড়ে তোলা হয় জ্যাকব আরবেনজ বিরোধী মনোভাব। তবে সিআই এর মূল লক্ষ্য ছিল সেনা অফিসার কার্লোস আর্মাসের মাধ্যমেই মূল অভ্যুত্থান ঘটানো ।কার্লোস আরমাছকে সহায়তা করতে চারশ ৮০ জন সেনা সদস্যকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করে সিআইএ৷ তবে চারশ ৮০জন একটি অভ্যুত্থানের জন্য যথেষ্ট ছিল না। তাই আমেরিকার বাইরে থেকে গুয়াতেমালাকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করা শুরু করে এবং গুয়াতেমালার সেনাবাহিনী কে বিভিন্ন উপায়ে ভয় ভীতি প্রদর্শন করতেও কালক্ষেপণ করেনি। যেন অভ্যুত্থানের সময় কার্লোসকে তাঁরা রুখে না দেয়। অবশেষে ১৯৫৪ সালে আমেরিকা তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করে। একটি সফল অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জ্যাকব আরবেনজকে সরিয়ে তার জায়গায় কার্লোস আর্মাসকে ক্ষমতায় বসানো হয়।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ভিয়েতনামে কমিউনিজমে পুঁজিবাদকে ঘিরে শুরু হয় এক দীর্ঘমেয়াদি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের । দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায় দেশটি। উত্তর ভিয়েতনামে ক্ষমতায় বসে হো-চি-মিনের কমিউনিস্ট সরকার আর দক্ষিণ ভিয়েতনামে দিন-দিয়েন। প্রথম আমেরিকা দিন-দিয়েন সরকারকে সমর্থন দেয়। কারণ তিনি ছিলেন ঘোর কমিউনিস্ট বিরোধী। কিন্তু দিয়ে ছিলেন একজন কঠোর ক্যাথলিক। সেইসাথে বুদ্ধের প্রতি তাঁর ছিল নির্দয় মনোভাব। ফলে তাঁর জনপ্রিয়তা বলতে কিছুই ছিল না। হো-চি-্মিনের বিরুদ্ধে আমেরিকার প্রয়োজন ছিল একজন জনপ্রিয় কমিউনিস্ট বিরোধী নেতার, কিন্তু দিন-দিয়েন কে দিয়ে,আমেরিকার সেই উদ্দেশ্য হাসিল হচ্ছিল না। তাই ১৯৬৩ সালে সিআইএর সহায়তা দিন-দিয়েন কে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা হয় এবং পরবর্তীতে সি আই এর পরামর্শে তাকে হত্যা করা হয়। যদিও শেষ পর্যন্ত লজ্জার পরাজয় নিয়ে ভিয়েতনাম ছাড়তে হয়েছিল আমেরিকাকে।
চিলিতে সি আই এর মিশন
১৯৭০ সালে সালভাদোর আলেন্দে চিলির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি আদর্শিকভাবে ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ভাবধারার। তাই আমেরিকার পক্ষে তা মেনে নেওয়া ছিল কঠিন। শেষ নয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন রিচার্ড নিক্সন। তিনি ব্যাপকভাবে চেয়েছিলেন সালভাদরকে প্রেসিডেন্ট অফিসে বসার আগেই আটকে দিতে, তবে তা সম্ভব হয়নি। ফলে বরাবরের মতোই দায়িত্ব এসে পড়ে সিআইএ এর কাধে। আর সিআইএ এ কাজের ওস্তাদ ,তাঁরাও চিলিতে থাকা গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে সালভাদর বিরোধী শক্তিগুলোকে উসকে দেয়।অল্প সময়ের মাঝে চিঠিতে দেখা যায়, রাজনৈতিক অস্থিরতায়। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে চিলির এক সেনা অফিসার অগাস্ট পিনোচেট এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সালভাদরকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। এরপর ১৯৯০ সাল পর্যন্ত চিলিতে চলে অগাস্ট পিনোচেট এর একনায়কতন্ত্র। যদিও সিআইএ সরাসরি অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার ব্যাপারে স্বীকার করেনি, তবে শুরুর দিকে সালভাদর বিরোধী শক্তিগুলোকে সহায়তার অকাট্য প্রমাণ রয়েছে সিআর বিরুদ্ধে। তাই অধিকাংশ বিশ্লেষক মনে করেন, চিলির অভ্যুত্থানের পিছনে আমেরিকার জড়িত ছিল
আফগানিস্তানে সিআইএর মিশন
। ১৯৭৯ সালে আফগানিস্তানের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন, আফগান-মুজাহিদিনরা সোভিয়েত ইউনিয়ন এর বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তখন তাদের পাশে দাঁড়ায় আমেরিকা। সিআইএ আফগান যুদ্ধের জন্য আলাদাভাবে মিশন হাতে নেয়। যার সাংকেতিক নাম ছিল অপারেশন সাইক্লোন। এই মিশনে প্রতি বছর আমেরিকার খরচ ছিল ২০ থেকে ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ১৯৮০সালে এসে দাঁড়ায়, প্রতি বছর ছয়শ ৩০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। ১৯৯২ সাল পর্যন্ত সিআইএ আফগানিস্তানে তাদের অপারেশন সাইক্লোন চালু রেখেছিল। এতে আমেরিকার প্রচুর ডলার খরচ হল বলা যায়। তাদের পরিকল্পনা সফল হয়েছিল।কারণ আফগান মুজাহিদিনরা শেষ পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন সমর্থিত সরকারকে পরাজিত করতে পেরেছিল।
এছাড়াও ইরাক ইরান যুদ্ধের সময় সাদ্দাম হোসেনকে সিআইএ গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। যদিও পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে আবার সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধেই তাঁরা অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। সিআইএ এখনও পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়া, জাপান, ইতালি, ফিলিপাইন, নিকারাগুয়া, লেবানন, এমনকী রাশিয়াতেও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার পালাবদলে বিভিন্নভাবে জড়িত ছিল। একসঙ্গে দেখা গেছে ১৯৪৭থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সিআইএ।প্রায় ৬০এরও বেশি নির্বাচনে পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল। এ ছাড়া অন্তত ছয়বার তারা আমেরিকার পছন্দের সরকারকে ক্ষমতায় আনতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছে। বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ঘটিয়েছে বেশ কয়েকটি অভ্যুত্থান। সিআই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রাখার স্বার্থে। তবে জন্মের পর থেকেই এই সংস্থাটি আমেরিকার নিরাপত্তা বজায় রাখার পাশাপাশি অন্য দেশের নিরাপত্তার ১২ বাজিয়ে আসছে। এমনকি প্রয়োজনে কোনও দেশের সরকার পর্যন্ত পাল্টে দিচ্ছে। তাই বলাই যায়। সিআইএ হল আমেরিকার নব্য সাম্রাজ্যবাদ টিকিয়ে রাখার গোপন হাতিয়ার।
প্রবাসী বাংলার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url